সবুজ দ্বীপ ঘুরে আসি চলুন
সুবর্ণরেখা ও ডুলুং। দুই নদীর সংযোগস্থলে সবুজ চর। সেখানেই কটেজে রাত কাটানোর সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। পুজোর আগেই এই বন্দোবস্ত চালু হচ্ছে সাঁকরাইলের কোদোপাল ইকো-টুরিজ়মে।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কোদোপাল এলাকাটি আসলে ডুলুং ও সুবর্ণরেখার মধ্যবর্তী জেগে ওঠা একটি চর। লোকমুখে এটি ‘সবুজ দ্বীপ’ হিসেবেই পরিচিত। বছর আটেক আগে এখানে ৩২ হেক্টর জমিতে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সবুজায়নের পরিকল্পনা করা হয়। একশো দিনের প্রকল্পে গড়ে উঠেছে বহুমুখী জৈব কৃষি খামার। রয়েছে নানা ধরনের ফল ও ভেষজ উদ্ভিদের বাগান। এলাকার ৭টি গ্রামের আড়াইশো আদিবাসী-মূলবাসী পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে খামারে। এ ছাড়াও রয়েছে ছোটদের পার্ক ও মুক্তমঞ্চ। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে ওই মুক্তমঞ্চে লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠান হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কোদোপালকে ‘ইকো-টুরিজ়ম’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দে তৈরি হয়েছে ৮টি বিলাসবহুল টুরিস্ট কটেজ। প্রতিটি কটেজে দু’জন করে থাকতে পারবেন। রয়েছে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ বা নজর-মিনার। সেখান থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যাবে। পুরো প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে অপ্রচলিত শক্তি। কটেজগুলি সন্ধের পর আলোকিত হবে সৌর বিদ্যুতে। এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নৌকায় ডুলুং নদী পেরিয়ে এই চরে পৌঁছতে হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পুজোর পর নদীর উপর কাঠের সাঁকো তৈরি করা হবে। কোদোপালে ‘ইকো-টুরিজ়ম’ তিন বছর আগে উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু তা চালু হয়নি। সম্প্রতি সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন কটেজগুলি সংস্কার করেছে। রবিবার সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস, ব্লক ইঞ্জিনিয়ার ও একশো দিনের প্রকল্পের আধিকারিকেরা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। আপাতত পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে যোগাযোগ করে আগাম কটেজ বুকিং করতে পারবেন পর্যটকেরা। পঞ্চায়েত সমিতির ‘৮৭৯০২৪৪৫০১’ নম্বরে ফোন করে বুকিং করা যাবে। প্রতিটি কটেজের জন্য দৈনিক দু’হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এটি খুব সুন্দর জায়গায়। পুজোর আগেই এটি চালু হয়ে যাবে। ফলে নদীর পাড়েই পর্যটকরা রাত কাটাতে পারবেন।’’
কিন্তু তিন বছর আগে তৈরি হয়েও কেন চালু হয়নি? বিডিও-র জবাব, ‘‘কিছু প্রতিবন্ধকতা ও করোনা পরিস্থিতির জন্য চালু হতে দেরী হচ্ছে।
ওড়িশার সমুদ্র সৈকতে দেড় কোটি রিডেল অলিভ কচ্ছপ ছানার জন্ম হলো ঃ
ওড়িসার সৈকতে জন্মালো দেড় কোটি অলিভ রিডেল , ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া গহিরমাথা সমুদ্র সৈকতে এবছর প্রায় দেড় কোটি অলিভ রিডেল কচ্ছপের জন্ম হলো। প্রতি বছর ওড়িশার এই জন মিনব হীন সৈকতে ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডেল সি টর্টলের দল। এ বছরো তার ব্যাতক্রম হয়নি কিছু। ভিতরকনিকা অরণ্যাঞ্চল, মনোগ্রাভ ডিভিশনাল ফরেষ্ট অফিস থেকে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিল থেকে ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়া শুরু হয়েছিলো। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পর্যন্ত ১,৪৮ কোটি অলিভ রিডেল সি টর্টলের জন্ম হয় এবং তারা সমুদ্রের জলে নেমে যায়। গত কয়েক বছরে এমন প্রজননের খবর নেই।
উল্লেখ্য গহরমাথার এই সৈকতে অলিভ রিডল সি টর্টলার একটি সবচেয়ে বড় প্রজনন কেন্দ্র। এ বছর ডিম পাড়তে এসেছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মা কাছিম। এক একটা কাছিম ডিম পাড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ র মত। ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বেরিয়ে পড়ে বাচ্চারা ডিম ফুটবার পরেই তারা হাঁটতে শুরু করে সমুদ্রের দিকে।
সমুদ্রের অতল গভীরে এদের বাসস্থান। ডিসকভারি চ্যানেলে দেখা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ