Header Ads Widget

Responsive Advertisement

গ্রাম ময়দানপুর একদিনে ঘুরে আসি চলুন

 গ্রাম ময়দানপুর একদিনে ঘুরে আসি চলুন

বাড়ি থেকে বেরোনোটা বোধ হয় রিস্কি হয়ে গেল আজ হোলির দিন চারিদিক রঙের ছড়াছড়ি করোনার দ্বিতীয় ছোবল আছে, তবু প্লান মোতাবেগ বেরিয়ে পড়লাম আজকের গন্তব্য ময়দানপুর নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের,গাটরা জিপির  পুরাতন জনপদ ময়দানপুরবাইকে দুপুর ২টা নাগাদ পৌঁছালাম মুড়াগাছা বাজারে আজ হাটবার, শুনলাম  রবি আর বুধে হাট বসে আমরা পেয়ে  গেলাম একটি গ্রাম্য নদী নাম পলদা জল টলমল করছে গ্রামের বৌ-ঝিরা স্নান করছে পারাপারের জন্য তৈরি হয়ছে বাঁশের সাঁকো সবটাই গ্রামবাসীর শ্রমে সংগৃহীত বাঁশ-পেরেক - লোহা ইত্যাদি

যাইহোক সেঁতুর উপর দিয়ে ঠেলে পার করতে  হয় এটাই কহবত সবচেয়ে আশ্চর্য্য পারাপারের কোন পারণি লাগে না বোর্ডে জলজল করছে নোটিশটি তবে সেঁতু নির্মানের ইতিহাস জানা গেল একটি অশ্বথ গাছের গোড়ায় বসে থাকা মানুষজনের কাছ থেকে -- বছর দুই আগে  দেড় কিমি দূরে যুগনিদহ ফেরিঘাটে  নৌকা পারের সময় School student দের সাথে পারাণি  নিয়ে অভদ্র ্যাবহার করে ঘাটের মাঝি প্রথম ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গুঞ্জন ছিল পরে মাঝির ঔদ্ধত বেড়েই চলে কিশোরী মেয়েদের নৌকা পারের সময় অশ্লীল ভাষা বলতে থাকে ্যাস ঘীয়ে আগুন পড়ে ১০ গ্রামের মানুষ মিলিত সভায় সিদ্ধান্ত নেয় ঘাটে কেউ আর পার হবে না আর সাতদিনের মধ্যে মুড়াগাছা বাজারের নীচ দিয়ে পারাপারের ঘাট হবে, প্রত্যেকের দান একটা বাঁশ আর নগদ ১০০টাকা তিন দিনের শ্রম দিয়ে তৈরী হল পারাপারের ঘাট পারাপারে কোন পয়সা লাগে না  দূর-দূরান্তের মানুষ দেখতে আসেন এই গ্রামবাসীর শ্রমে গড়া বাঁশের সেঁতুটি আপনিও আসুন সেঁতুর মাঝখানে দাঁড়ালে পলদার নীল জল, মাছরাঙ্গা, বক, শালক পাখি আর জেলেদের মাছ ধরা

গাছের বেদীর পশেয় অঞ্জনা বৌদির চা'য়ের  দোকান গরমা-গরম চা পান করে  বাইকে উঠে  মাঠ-অসংখ্য গাছ-গাছালি জলাভূমি দেখতে দেখতে চলে এলাম ময়দানপুর কালীবাড়ি নিম্ন বর্গীয় মানুষের বাস এখানে প্রায় ৪০০ বছরের জাগ্রত দেবী  বহু মানুষ বিশেষ করে তপশিলী জাতিউপজাতি মানুষের আরদ্ধ মা হিসাবে পূজিত হয় পুরুষ ধরে প্রতিদিন নিত্য পূজো  হয়ে আসছে এখনকার সেবাইত পরোহিতও বটে সুবোধ দাস তিনি জানালেন, মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন পুরুষ আগে  দাস বংশের কূলবধূ মাননীয়া লক্ষ্মীদেবী স্বপ্নে আদেশ পেয়ে  এই কালি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি কথা বলতে বলতে  মন্দিরের দরজা খুলে দিলেন  সুন্দর মন্দির কিন্তূ খুবই ছোট আছে  কালি কিন্তু একজোড়া প্রতিমা পাশে একটা মূর্ত্তি মোট তিনটি,জোড়া কালি, পাশে লক্ষ্মীর সম্ভবত এদের বংশের এই মন্দির প্রতিষ্ঠাতা কূলবধূ লক্ষ্মীদেবীর তবে বিতর্ক নেই  ্যাংটা নয় কালী লাল টকেটকে কাপড়ে মুড়ানো বসে আছেন শিবের বুকের উপর চার হাতে অস্ত্র আছে মাথায় সোনালি রঙের মুকুট লক্ষ্মীদেবীর কাপড়ের রং বাসন্তি রঙের মুকুট নেই আমরা প্রশ্ন করাতে এড়িয়ে নিয়ে  এলেন বলির স্থানে বললেন  এখানে  বলি হয় আতিতে মহিশ বলি হত এখন শুধু পাঠা 

বলি কে দেয়

মানত যাদের তারা

এখানে মানত বাঁধা হয় 

আপনাদের আয়-রোজগার মানে চলাচল কিভাবে?

কোন উত্তর না দিয়ে  একটা কার্ড ধরিয়ে বল্লেন, পঞ্চম দোল উৎসবে আসবেন, দেখা হবে, নমস্কার।।

আমরা মন্দিরের চাতালে বসে একটু বিশ্রাম করলাম ময়দানপুর খুবই প্রসিদ্ধ, নামডাক যখন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে তখন গ্রামের মানুষ আবেগে   গর্ববোধে উত্তাল হয়ে পড়ে শতাব্দিকাল ধরে  জুড়ে আছ এই উন্মাদনা অন্তজ শ্রেণীর মানুষের আর্থ-সামাজিক জীবন পলদা নদীর জলের মত উচ্ছ্বল

আসুন ময়দানপুর  একদিনের জন্য,খুব ভাল লাগবে আপনার

কী ভাবে পৌঁছাবন

শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ৃষ্ণনগর কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে টোটোয় ময়দানপুর ২৬ কি মি মাত্র অথবা গেদে লোকালে মাজদিয়া স্টেশনে নেমে অটো, বা টোটোয় ময়দানপুর ২৫ কিমি বাসে সাকদহ মোড়ে নেমে টোটোয় ১৩ কিমি ময়দানপুর 

থাকা খাওয়ার ্যবস্থা মন্দির প্রঙ্গন আগে বললে খাবারের ্যাবস্থা হয়ে যায়


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ