Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নদীয়ার ৯ টি পিকনিক স্পটের বিবরণ - কখন যাবেন , কিভাবে যাবেন জেনে নিন


নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পিকনিক স্পটগুলি। কৃষ্ণনগরের শিয়রে আছে জলঙ্গি নদী যা গঙ্গায় মিশেছে। সেই জলঙ্গির গা ঘেষে রয়েছে পিকনিক স্পট। NH-34 জাতীয় সড়কের পাশে বাহাদুরপুর ফরেষ্ট, পাশে হাঁসাডাঙা বিল। এই ফরেষ্ট এবং বিলে পিকনিক আকর্ষণীয়, শত মানুষ এখানে আসেন পিকনিক করতে। ফ্যামিলও আসে নিরুদ্রপ ভাবে আনন্দ করতে পারেন তারা। 

এবার নবদ্বীপ ঢুকতে গৌরাঙ্গ সেতু গঙ্গার উপর। গঙ্গার পাড়ে ফাঁকা বালিয়াড়িতে শীতের পিকনিক জমিয়ে করা যায়। 
একটু পিছিয়ে নৃসিংহতলা - নৃসিংহদেবের প্রাচীন মন্দির। ঠিক পিছনে অনেকগুলি দিঘী দেখতে পাবেন। স্থানটা অসাধারণ। এই দিঘির ঢালে পিকনিক করতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। 
কৃষ্ণনগরের পূর্বে, মাজদীয়া-গেদে বাসরুটে দেখা মিলবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় নির্মিত শিবনিবাস। তিনটি মন্দির একই জায়গায়। পাশে চূর্ণী নদী বহমান। নদীর পাড়ে, পাশেই আম্রকুঞ্জ, বিস্তির্ণ এলাকায় পিকনিকের আদর্শ জায়গা বলা চলে। পুরনো দিন থেকেই পিকনিকের চলে আসছে।
এবার চলে যাই গেদে প্যসেঞ্জারে আড়ংঘাটা, এখান থেকে ট্রেকারে পারমদনপুর অভয়ারণ্যে। যার নামকরণ করা হয়েছে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। ইছামতি নদীর তিরে অসাধারন প্রাকৃতিক পরিববেশের মধ্যে পিকনিক সারতে পারবেন ফ্যমিলি সহ। তবে এর জন্য একটা চার্জ দিতে হয় - ৫০ টাকা আর গাড়ির জন্য ১০০ টাকা। মাইক বাজানো সম্পূর্ণ নিষেধ। নিরবিলি পরিবেশে খুব ভালো লাগবে। 
এবার চলে আসুন রাণাঘাটের অদূরে অবস্থিত খিসমা ফরেষ্ট। শাল-গরান-সুবাবুল-ইউক্যলিপটাস গাছের নিদারুন সমারোহ। তবে ফরেষ্টের বুক চিরে চলে গেছে গ্রামীণ রাস্তা। কেয়ারটেকার আছে, মৌখিক পারমিশান নিতে হয় শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে পিকনিক করার মজায় আলাদা।
কল্যণীতো পিকনিক গার্ডেন নামে পৌরসভার একটি আধুনিক এবং আপ-ট-ডেট পার্ক বলা যায়। অসংখ্য নানা প্রজাতির গাছ, জলাধার এবং পিকনিক করার কটেজ  উনুন ঘর খাবার জায়গা, রান্নার সরঙঞ্জাম ভাড়া পাওয়া যায়। সবারই মনোমত পিকনিক স্পট এটা। পৌর এলাকা ছাড়া কোথাও এমন সুন্দর স্পট আর খুঁজে পাবেন না।
সবুজদ্বীপ ঃ- শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর গামী ট্রেনে অথবা রাণাঘাট লোকালে পায়রাডাঙ্গা স্টেশনে নেমে এক নং প্লাটফর্মের বাইরে অসংখ্য টোট অথবা অটো পাওয়া যাবে। শুধু বলতে হবে সবুজদ্বীপ যাবো, ব্যাস ২০ মিনটে পৌঁছে দেবে নদীর ধারে ওপারে সবুজদ্বীপ। এবার নৌকা চুক্তিতে ভাড়া করে নিতে হবে, কেননা ফিরতে হবে। যাই হোক পার হয়ে দ্বীপে পৌঁছে খুঁজে নিতে হবে স্পটটি। তারপর পিকনিকের তোড়জোড়, এখানে অবলীলায় সাউন্ড চলবে। সাথে সাথে দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারেন, ভালো লাগবে।
তেহট্ট ঃ কৃষ্ণনগর থেকে যেতে ৫৫ কিলোমিটার দূরে তেহট্ট। এর আগে বালিউড়া খড়ে নদীর ওপারে সবুজ মাঠ, আবাদি জমি একটু কাছেই আমবাগান, এখানে মাইক যোগে পিকনিক করা যায়। বাড়তি পাওনা নৌকা বিহার। ছোট একটি ফরেষ্টের পাশে রাধাকৃষ্ণের মন্দির যা, নির্মান করে ছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। মন্দির দর্শন করে আবার নৌকায় তেহট্ট বাজার ঘুরে আসা যায়।
বেথুয়ডহরী অভয়ারণ্য ঃ শিয়ালদহ থেকে লালগোলা প্যসেঞ্জারে আসতে হবে বেথুয়াডহরী স্টেশন। স্টেশনের বাইরে প্রচুর রিক্সা ও টোটো পাবেন। চলে আসুন বেথুয়াডহরী অভয়ারণ্যে। পিকনিক ক্যাম্পাসের  ভিতরে হয় না। জাতীয় সড়ক NH- 34 রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে পিকনিক  করা যায়, এখানেই সবাই পিকনিক করেন। তবে অভয়ারণ্য দেখে নিন এই ফাঁকে। দেখতে পাবেন ঘড়িয়াল, কাঁঠবিড়ালি, ময়ূর, নানা প্রজাতির পাখি, হরিণ আর আছে প্রজাপতির মিউজিয়াম। অভয়ারণ্যে টিকিট ৫০ টাকা শিশুদের ১০ টাকা। বেশ সুন্দর ভাবে এখানে পিকনিক করতে দূর দূরান্তের মানুষ আসেন।
পলাশী ঃ জাতীয় সড়ক বরাবর চলে আসুন পলাশী মনুমেন্টের কাছে। পাশেই বহে চলেছে গঙ্গা। যেখানে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল ব্রিটিশ সৈন্যের সাথে আম্রকুঞ্জ আর নেই। গঙ্গার পাড়ে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে গুছিয়ে পিকনিক করা যায়। বাড়তি দেখে নিতে পারেন পলাশী মনুমেন্ট বা শহীদ স্তম্ভ। একটু কাছেই খৈতানদের চিনির কল। আর বিঘে বিঘে আঁখ জমি। 
নদীয়ার পিকনিক তথ্য দেওয়া গেল, উপকারে লাগলে খুশী হব। ধন্যবাদ।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ