Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কোরোনা পরিস্থিতিতেও নিশ্চিন্তে ঘুরতে যেতে পারেন এই ৭ টি জায়গায়

করোনার আতঙ্কে মানুষ জেরবার। বাইরে বেরনো দূর অস্ত, ঘরে বসে কোথাও হাঁচি-কাশিতে করোনার ভয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে মানুষ। তবে লক ডাউনের সময় বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবা যাবে না।

এদিকে বছরে ৩/৪ বার বেড়াতে না গেলে পা চুলকায়, তাঁদের এই করোনায় হাঁসপাঁস অবস্থা। যে সব জায়গায় বেড়ানো যাবে। যথারীতি কোভিড আচরণ বিধি মাণ্য করে বেড়াতে যাওয়া যাবে। আমাদের রাজ্যে বেড়ানোর জন্য পাহাড়, সমুদ্র, বন, ঐতিহাসিক  স্থান, তীর্থস্থান ইত্যাদি সব ধরনের জায়গা রয়েছে।  ছোট ছোট দল করে ভিড় ভাট্টা এড়িয়ে সরকারি লজ ভাড়া নিয়ে ঘুরে আসা যায়। কাছেপিঠে নানান জায়গা রয়েছে। তবে ভ্যাকসিনটা নিয়ে নিতে হবে। 
কিছুদিন আগে ইয়াশ ঝড়ের তান্ডবে সুন্দরবনের যে ভয়াল অবস্থা হয়েছিল তা, ভাবায় যায় না। তবে সময় লাগবে কিছুদিন।  আমাদের আশা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।  ১৯৯৭ সালে ইউনস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাব শিরপা দেয় সুন্দরবনকে। অনেক ওয়াচ টাওয়ার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। সজনেখালি বন দপ্তর থেকে পারমিসন নিয়ে এবং গাইড নিয়ে জলজঙ্গলের সব দেখে নেওয়া যাবে। সুধন্যখালি, নেতিধোপানী, পাখিরালয়, ঝিঙাখালি টাওয়ার থেকে দেখা যাবে সুন্দরবনকে। গাইডের কাছ থেকে বাঘ-কুমিরের রোমহর্ষক গল্প শোনা যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে বাঘ-কুমির-সাপের সঙ্গে মানুষের দুঃসাহসিক লড়াইয়ের সব কাহিনী শোনা যাবে। লঞ্চে আয়োজন করা লাঞ্চে জলের মাছ আর চিংড়ির নানা প্রকার জিভে জল আনা পদ  খেতে পাওয়া যাবে। দু তিন দিনের লঞ্চ ভ্রমণ, লঞ্চেই থাকা লঞ্চেই খাওয়া এক আনন্দদায়ক পরিভ্রমণ আর কি। 
অসংখ্য টুরিষ্ট সংস্থা আছে রয়েছে। 
www.wbtourism.gov.in www.wbtdcl.co ph-033 22436440 
সমুদ্র দর্শনে  দিঘার ট্রেন আছে। হাওড়া থেকে  তিন ঘন্টার রাস্তা। এছাড়া গাড়িতে মন্দারমণি, তাজপুরে যাওয়া যায়। থাকার হোটেল নিশ্চিত। 
ঐতিহাসিক স্থান যারা ভালোবাসন তাঁদের জন্য মন্দির দেশ বিষ্ণুপুর। আগে মহারাজাদের রাজধানী ছিল এই বিষ্ণুপুর। রাজারা প্রায় ১২০০ বছর রাজত্ব করেছেন। বিষ্ণুপুরের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। মন্দিরের শিল্পকলার টানে এখনো প্রচুর পর্যটক বিষ্ণুপুরে হাজির হন। থাকবার জায়গা সরকারী / বেসরকারী ট্যুরিষ্ট লজ আছে। চাইলে মুকুটমিণপুর ড্যাম ঘুরে নেওয়া যায়। ফিরার পথে আমারবাগ, কামারপুকুর, জয়রামবাটি ঘুরে আসা যায়।
এবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় ঘুরে আসা যায়। সঙ্গে মুরগুমা, ময়ূরঝর্ণা, ড্যাম, বামনি ফলস থেকে  বাঘমুন্ডি, মুখোস তৈরীর গ্রাম চাড়িদা ঘুরে দেখা যায়। এছাড়া বাড়ন্তি, জয়চন্ডি পাহাড়, পঞ্চকোট ঘুরা যাবে। বিস্তারিত জানতে জেলার সরকারী ওয়েবসাইট puruliatourism.in 
এছাড়া মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রাম থেকে ঘোরা যাবে কর্ণগড়, পাথরা, চিল্কিগড় থেকে বেলপাহাড়ি অরণ্যানঞ্চল। ঝাড়গ্রামের অতিথি নিবাসে থাকা যাবে। মেদিনীপুরেও অসংখ্য হোটেল পাওয়া যাবে। 
ট্রেন ছাড়া ৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে 
( মুম্বাই রোড) প্রাইভেট গাড়িতে মেদিনীপুর  আসা যাবে। মাত্র ১২৫ কিলোমিটার রাস্তা। মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম ৩০ কিলোমিটার। গাড়িতে ৩ ঘন্টা সময় লাগে।
যাদের তীর্থস্থান পছ্ন্দ তারা অনিয়াসে চলে আসুন নবদ্বীপ, মায়াপুরে। অথবা তারাপীঠ ঘুরা যায়। কলকাতা থেকে ৪ ঘন্টার রাস্তা।
দু-টি ঘোরার জায়গা বাঙালির কাছে খুবই আদরের। প্রথমটা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন আর নবাবী এলাকা ঐতিহাসিক  মুর্শিদাবাদ। শান্তিনিকতনে সরকারি লজ রয়েছে। যাবার জন্য একধিক ট্রেন আছে। করোনা পরিস্থিতির ভিড় এড়াতে নিজের প্রাইভেট কারে যেতে পারেন। মুর্শিদাবাদে ভালো হোটল, যুব আবাস পাওয়া যাবে। বহরমপুরে উন্নত মানের হোটেল বিদ্যমান। শেষ হচ্ছে বাংলার ডুয়ার্স। গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। এর সাথে চিলাপাতা, খয়েরবাড়ি, ঝালং, বিন্দু, সামসিং, সানতালখোলা, বক্সা, জয়ন্তী আর রাজা ভাতখাওয়া যাওয়া যায়। কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখে শেষ করা যায় এই ভ্রমণ। 
সত্যি কথা বলতে কি প্রকৃতির কোলে অরণ্যের স্বাদ পেতে ডুয়ার্স ভ্রমণের বিকল্প নেই।  তাই ছাড়া পেলেই ঘুরে আসা যায় কাছে পীঠে কোথাও। আর খাঁচায় বন্দি আর জেলখানা করোনাকালের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ