থাইল্যান্ড এক জনপ্রিয় টুরিষ্ট স্পট।
সারা বিশ্বের পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে এখানে। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য আছে অপরূপা সমুদ্রতট তেমনি আছে রূপবতি থাই কন্যাদের বিউটি পার্লার। রয়েছে মন্দির, না না প্রদর্শনী, নাংনুচ বাগান, সাফারি বাগান, রিভার ক্রুজ আর মনের মত মার্কেটিং করার সপিং মলগুলি। সব মিলিয়ে একটু সস্তায় ভ্রমণের আদর্শ স্থান এই থাইল্যান্ড। কলকাতা থেকে আড়াই ঘন্টায় পৌঁছান যায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে।
ব্যাঙ্কক থেকে পাট্টায়ার দূরত্ব ১৪৭ কিলোমিটার। আলাক্সা স্কয়ারে বিশ্ব বিখ্যাৎ কেবারট শো। অত্যাধুনিক অডিটেরিয়ামে যে কুশলতায় শিল্পীরা পাশ্চাত্য ঘরনায় নৃত্য পরিবেশন করে তা না দেখলে বর্ণনা দেওয়া কঠিন। ১৯৮১ সালে ৩০০ আসনের থিয়েটার চালু হওয়ার পর ১৯৯০ সালে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে করা হয় ১২০০। অনুষ্ঠানও হয় দিনে চারটি শো। এই অনুষ্ঠানে বিদেশী পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। আলো, সুর, কষ্টিউম, মঞ্চ সব দিক দিয়ে এই ক্যাবরেট ড্যান্স দর্শকদের নিশ্বাস ফেলতে দেয় না। বাড়তি পাওনা ভারতীয় পর্যটকদের জন্য হিন্দি গান ও নাচ।
কোরাল দ্বীপ পাট্টায়ার বিখ্যাৎ দ্বীপ। পট্টায়ার সমুদ্র সৈকত। বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত। দূর থেকে এই সমুদ্র ধনুকের মত বাঁকা দেখায়। বোটবাস ৩০ জন যাত্রী নিয়ে সমুদ্র ভ্রমণ করা যায়। এখানে না না জলক্রীড়ার ব্যাবস্থা আছে। প্যারাসেলিং, স্কুবা ড্রাইভিং, ব্যানানো বোট রাইড প্রভৃতির ব্যাবস্থা আছে। সৈকতের কিনারে সারি সারি ডেক চেয়ার আর রঙিন ছাতা। সেখানে বসে দেখা যাবে সমুদ্রের সৌন্দর্য্য। কেউ কেউ সমুদ্রে জলক্রীড়ায় ব্যাস্ত। থাইফুডের মেলা। বড় বড় চিংড়ি, লবস্ট্যার, ঝিনুক, কাঁকড়ার এলাহি মেলা।
পট্টায়ার ওয়ার্কিং স্ট্রিট শেষ ডিসম্বরের পার্ক স্ট্রিটের মত চনমনে। তবে পাট্টায়া সারা বছর চনমনে থাকে।
এবার বিশ্ব বিখ্যাৎ নং - নুচ গার্ডেনে। নামে গার্ডেন কিন্তু ৬০০ একর জুড়ে শুধুই ফুলের বাগান, জীব জন্তুর শিল্প, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর এলিফ্যান্ট শো। পুরো এলাকা ঘুরবার জন্য বাস রয়েছে। আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। অ্যাকুরিয়ামে না না সমুদ্রের জীব জন্তু প্রদর্শনী দেখতে ভালোই লাগে।
এবার চলে আসুন জেমস্ ( রত্ন) কারখানায়। কী ভাবে দামি রত্ন দিয়ে নানা রকমের অলঙ্কার তৈরি হচ্ছে দেখে নেওয়া যাবে। টাকার দুনিয়া কয়েক লক্ষ টাকা সাতে নিয়ে ঢুকতে হবে। না হলে দেখায় হবে শুধু। এবার ঢুকে পড়ুন 'বিলিভ ইট অর নট' প্রেক্ষাগৃহে। মজাদার প্রদর্শনী। প্রথমে 3D লেন্সে জঙ্গল ও পাহাড় ভ্রমণ। ২০ মিনিটে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। মোমের শিল্প লেজারের কাজ তথা বিজ্ঞানে অসাধারণ কাজ। প্রর্দশনীতে অনেক অভিনবত্ব পাওয়া যায়।
ওয়ার্কিং স্ট্রিটে মার্কেটিং করে নেওয়া যাবে।
এবার চলে আসুন থাই রাজধানী ব্যাঙ্ককে। পাট্টায় থেকে ব্যঙ্কক মাত্র ১৪৭ কিলোমিটার। দেখে নেওয়া যাবে রাজ প্রাসাদ, বৌদ্ধ মন্দির ও সাফারি ওয়ার্ল্ড। ১৯৮৮ সালে ৪৮০ একর জমির উপর পার্ক তৈরী হয়। এই সাফারি ওয়ার্লডকে দুই ভাগে ভাগ করতে হয়। প্রথমে দেখে নিতে হবে মেরিন পার্কে নানান পাখি, জীব জন্তু আর অসংখ্য গাছ গাছালি। দ্বিতীয় ভাগ হলো সাফারি পার্ক। টুরিষ্ট কারে চড়েই ভ্রমণ। অসংখ্য পাখি আর জীব জন্তু খোলামেলা ঘুরছে। শেষে দেখতে যাবেন বাঘ, সিংহ এবং ভাল্লকের ডেরায়। দেখে নিন নিলাম গ্রান্ড প্যালেস, ওয়াটাফ মন্দির, অরুণ মন্দির। গোল্ডেন বৌদ্ধ মন্দির খুবই আকর্ষণীয়। বুদ্ধদেবের মূর্তিটা সোনা দিয়ে মোড়া। এক কথায় বলতে হয় ব্যঙ্কক হচ্ছে বৌদ্ধ মন্দির শহর। ১৭৮২ সালে এই শহরের প্রতিষ্ঠা।
কী ভাবে যাবেন ঃ কলকাতা নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্কক যাবার অনেক ফ্লাইট আছে। সময় লাগবে আড়াই ঘন্টার মত। ভাড়া ওঠা নামা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার মত। ব্যাঙ্কক থেকে পাট্টায়ার দূরত্ব ১৪৭ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন ঃ রামাডা প্লাজা, সাংগ্রিলা, প্রিন্স প্যালেস প্রভৃতি হোটেল পাওয়া যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ