খড়্গপুর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে মন্দিরনগরী মালঞ্চ। স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যন্ড থেকে বাস যাচ্ছে আধঘন্টা পরপর বাস যাচ্ছে নিমপুরা। এখান থেকে পায়ে হেঁটে বা রিক্সা নিয়ে ঘুরে নেওয়া যায় মালঞ্চর মন্দিরগুলি।
মালঞ্চর মন্দিরগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মন্দির হচ্ছে কালি মন্দির। অপূর্ব সুক্ষ্ণ টেরাকোটার কাজে মন্ডিত মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুটের বেশী। মন্দির গাত্রে সুন্দর দৃষ্টিনন্দন বর্ণীত আছে রামায়ণ কাহিনী। রাম,লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন, বালি, সুগ্রীবের ইত্যাদি সবই আছে টেরাকোটায়। মন্দিরের প্রবেশদ্বারেও অপূর্ব টেরাকোটার নিদর্শন রয়েছে। দেবী এখানে নিত্য পূজা পেয়ে থাকে। পুরো মন্দিরটি মেটে লাল রং-এ রং করা। স্বাভাবিক ভাবে রং-এর ঐতিহ্য হারিয়েছে। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৬৩৪ সালে। এটি এটি নির্মাণ করেছিলেন জকপুরের মহাশয় গোবিন্দরাম রায় মহাশয়।
কালী মন্দিরের অনতি দূরে আছে শিব মন্দির। এটাও একটি প্রাচিন মন্দির। এছাড়া আছে সীদ্ধেশ্বরী মন্দির। এখানে নিত্য পূজো পাঠ হয়। মন্দিরটির বয়স দুশো বছরের পুরাতন হলেও বর্তমান সংস্কৃত অধুনা। খড়্গপুর স্টেশনের ধিকে গেলে দেখা যাবে বালাজী মন্দির। বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশী। মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে ভারতীয় রীতি অনুযায়ী। মন্দির নির্মান করেছেন খড়্গপুরের দক্ষিণ ভারতীয় অধিবাসীরা।
এরপর দেখা যাবে একটি মন্দির নাম ঝাড়েশ্ব মন্দির। এখানে শিব চতুর্দশী ও চৈত্র সংক্রান্তির দিনে মেলা বসে। এই মন্দির জাগ্রত। এখানে নিত্য পূজো হয়।
কলকাতার খুবই কাছে এত সুন্দর মন্দির আছে অথচ প্রচারের অভাব খুব বেশ সকালে যেয়ে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যায়।
ReplyForward |
0 মন্তব্যসমূহ