Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নদীয়ার বিল্বগ্রাম ও জাগ্রত দেবী পাগলচন্ডীর মন্দির দেখে আসুন

নদীয়ার বিল্বগ্রাম,পাগলচন্ডী  ঘুরে আসুন ঃ-



"পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল
কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল। "
এই কবির রচয়িতা মদন মোহন তর্কালঙ্করে আদি জন্মস্থান হচ্ছে এই বিল্বগ্রাম। বহরমপুর রোড ধরে বেথুয়াডহরি বাজারে নেতাজী মূর্তির বাম পাশ দিয়ে পশ্চিমে যে রস্তাটা গিয়েছে ঐ রাস্তা ধরে চলে গেলে জগন্নাথ পুরের পাশ দিয়ে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে গেলে পাওয়া যাবে পন্ডিত মদন মোহন তর্কালঙ্কারের জন্মভিটা বাড়ি। পথে যেতে পড়বে গেটপাড়া, নাকাসীপাড়া, বিল্বগ্রাম প্রভৃতি গ্রাম ছিল পন্ডিতের বাস। পাশেই ব্রাহ্মণীতলা, প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তির দিন সুবিশাল মেলা বসে, অনেকে মনসার মেলা বলে। এটি প্রচীন মেলা। পাশ্র্ববর্তী এলাকায় অরন্ধন থাকে প্রতি বাড়িতে।
মা মনসার গান, ঝাপান গান এখানে অনুষ্ঠিত হয় এবং সমাদৃত।
প্রতি বছর ৩ রা জানুয়ারী মদন মোহন তর্কালঙ্কর  মেলা হয়। স্ম‍ৃতিরক্ষা কমিটির উদ‍্যোগ জন্মদিবস পালন করা হয়। স্থানীয় ও বহিরাগত অনেক গুণী কবি, সাহিত‍্যিক ও সংস্কৃতি প্রেমী মানুষের সমাবেশ ঘটে। দুই দিন ধরে না না ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলতে থাকে। বিভিন্ন স্মৃতি বহন করে এই স্থানে। এখানে দেখা যাবে বিশ্বেশ্বর মন্দির।

পাগলাচন্ডী মা ঃ-
গ্রামের নাম পাগলাচন্ডী, কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত। কৃষ্ণনগর শহর থেকে এগিয়ে গেলে ধুবুলিয়া, বেথুয়াডহরী, দেবগ্রাম ছাড়িয়ে ৫/৭ কিমি এগোলিই পাগলাচন্ডী সেতু, সেতুর নীচে পাগলাচন্ডী দহ। এই দহ বন‍্যার জল সরে গিয়ে রাতারাতি সৃষ্টি হয়েছিল। না হলে সেতু তৈরি করতে  অসুবিধা হচ্ছিল। আবার কয়েক বছর আগে নৌকা বাইছ দেখতে মানুষ বসে ছিল রেল লাইনের উপর অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল লালগোলা গামী ট্রনের চাকায় পিষ্ট হয়ে কাটা পড়ে ১১ জন নিরীহ মানুষ।
এই দহের গভীরতাও যথেষ্ট।
সেতুর প্রথমে বাঁ দিকে ৩০০ গজ গেলেয় পাগলী মা বা পাগলাচন্ডী মূর্তি বা চন্ডী মূর্তি। জাগ্রত মা বলে কথিত। আর সেতু পার হয়ে ডান দিকে দেখা  বিখ‍্যাৎ ব‍্যারিষ্টার ও প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্করদাস ব‍্যানার্জীর বসত বাড়ী। সাথে আছে সুন্দর একটি বাগান। পাখির কলকাকলতে মন ভরে যাবে।

ফুলডুংরি।

একটি  পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার নিরিখে ঘাটশিলা এখন নিঃস্ব, রিক্ত। যত দিন গড়ায়, কোনও পর্যটনকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নত হয়। আর সেখানে দিনকে দিন ঘাটশিলার পরিকাঠামোই ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট এতই ভাঙাচোরা যে গাড়ি চললে ধুলো থেকে হাঁচি-সর্দি-কাশি ঠেকানো মুশকিল। ঘাটশিলায় পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী ও ‘গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতি’-র সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “ঘাটশিলার রাস্তা এখানকার পর্যটনের প্রসারে বড় বাধা।” জুন মাসে তাপসবাবুদের উদ্যোগে গৌরীকুঞ্জে বসেছে সৌরশক্তির আলো, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি। তার আগেই আমূল সংস্কার হয়েছে ওই বাড়ির, বিভূতিভূষণ যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু পর্যটকেরাই যদি ঘাটশিলামুখী না হন, তা হলে কে দেখবে আলো ঝলমলে গৌরীকুঞ্জকে?

অথচ ঘাটশিলার মতো ‘পশ্চিমে’ এক সময়ে বাঙালি ফি বছর যেত স্বাস্থ্য ফেরাতে। যেমনটা যেত জোসিডি-মধুপুরে-দেওঘরে। সপ্তাহখানেক ঘাটশিলায় থেকে সেখানকার জল খেয়ে পেটরোগা বাঙালি বছরের বাকি সময়ের জন্য হজমশক্তি সঞ্চয় করে আসত। ঘাটশিলার জল এখনও খারাপ নয়, কিন্তু রাস্তার ধুলোর জন্য বাতাস ময়লা হয়ে গিয়েছে। আর সেই ভঙ্গুর পথে চলার মূল যান বলতে গেলে অটোরিকশা। গোটা অটোরিকশাই ভাড়া নিতে হবে। ফলে, অবধারিত টান পড়বে পকেটে। অথচ একদা ঘাটশিলায় ট্রেকারের কোনও অভাব ছিল না। অল্প খরচেই যাওয়া যেত কাছাকাছি জায়গাগুলোয়।

ঘাটশিলায় যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে জন্মেছিল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’-র অভিযান পড়ে। বয়স তখন দশও নয়। ওই বয়সের ছেলের বোঝার মতো করে ঘাটশিলার যে অপূর্ব ছবি লেখক এঁকেছিলেন, তা মনে গেঁথে গিয়েছিল। সুবর্ণরেখা নদী, ফুলডুংরি টিলা, কপার মাইনস, বুরুডি জলাধার, ধারাগিরির নিসর্গ বর্ণনা তো ছিলই, সঙ্গে ছিল জিভে জল আনা রসমালাই-ল্যাংচা-লেডিকেনির কথা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ