Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কুবের গোঁসাইয়ের গ্রাম বৃত্তিহুদা ঘুরে আসি চলুন

 কুবের গোঁসাইয়ের গ্রাম বৃত্তিহুদা ঘুরে আসি চলুন।ঃ-


নদীয়া জেলার চপড়া থানার বৃত্তিহুদা গ্রাম। এখানে চরন পালের জন্মভিটা। আবার বিখ‍্যাৎ লোকশিল্পী ও কবি,সাধক কুবির গোঁসাই-এর সাধন ক্ষেত্র। সামনে জলঙ্গী নদী তির তির করে বইছে।প্রত‍্যেক বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমায়  বৃত্তিহুদায় কুবের গোসাই-এর স্মৃতিতে মেলা বসে। কুবেরের বহু শিষ‍্য অর্থাৎ সাহেবধনী সম্প্রদায়ের শিষ‍্যত্ব গ্রহন কারি মানুষ জন আসেন। নিজ নিজ আখড়া তৈরি করে নিজেরা গ্রামের মানুষ অবস্থান করেন। সবার আখড়ায় রান্নাবান্না হয় সবাই একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন। তারপর আখড়ায় আখড়ায় চলে কুবেরগীতি, আলোচনা। দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা আসেন।কুবেরের গান তূলে নিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। কথিত আছে জলঙ্গী নদী পথে মাঝি মল্লাররা গলায় উঠে এসেছিল কুবেরর গান। মাঝিদের গলা থেকে রামকৃষ্ণ তুলে নিয়ে ছিলেন গানটি।

ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে মনআতাল পাতাল খুঁজলে পাবিনে রে মন রত্নধন

খোঁজ খোঁজ খোঁজ খুঁজলে পাবি হৃদয় মাঝে বৃন্দাবন

দীপ দীপ দীপ জ্ঞানের বাতি হৃদে জ্বলবে অণুক্ষণ।।

ড‍্যাং ড‍্যাং ড‍্যাং ড‍্যাঙায় ডিঙে চালায় বল সে কোন জন।

কুবের বলে শোন শোন শোন ভাব গুরুর চরণ।।

এই গানটি পরম আনন্দে গাইতেন। 

ডুব ডুব গানটি প্রথম মানুষের কাছে প্রকাশ পায়।


কীভাবে যাওয়া যায় ঃ --কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়ার পরে লক্ষ্মী গাছা তারপর  বৃত্তিহুদা গ্রাম। জলঙ্গীর কিনারে।

 হীরাবন্দর

১-যার কেউ নেই তার কে আছে? উত্তরটা সম্ভবত উপরওয়ালা, কিন্তু তদুপরি তিনি যে আছেন এমনতর কোন প্রমাণ যখন অদ্যাবধি  নেই, তখন নিঃসংশয়ে বলা ভালো যে তিনি আছেন! তবে প্রশ্নকর্তা যদি ভ্রমণার্থী হন, তাহলে নিঃসংশয়ে নিঃসংকোচে বলতে পারি যে যার কেউ নেই তার ডায়মন্ডহারবার আছে। পয়সা নেই তো কী হয়েছে, সময় নেই তো কী হয়েছে, শারীরিক সামর্থ্য নেই তো কী হয়েছে, ডায়মন্ডহারবারের দরজা সবার জন্যে খোলা। গিয়ে গঙ্গার ধারে বসো, ভেবে নাও এটাই হরিদ্বার কি বারাণসী, গঙ্গা তো সেই একই, চা ঘুগনি খাও; সূর্য পাটে গেলে ঘরের ছেলে ঘরে যাও। মিটে গেলো। আমার যখন অনেকদিন বেরোনো হয়না, ঘরে বসে প্রাণ হাঁপিয়ে ওঠে, তখন রবিবার দুপুরে খেয়ে উঠে ডায়মন্ডহারবার; আমার সমুদ্রবিলাসী মন জল দেখলে ভারি খুশি হয়। তারপর রাতে খাওয়ার সময় হওয়ার আগেই বাড়িতে।এই বর্ষায় সারাদিনের জন্যে ডায়মন্ডহারবার! কেমন হবে? তবে আমার আবার সিধে যাওয়ার চেয়ে ঘুরে যেতে ভাল লাগে। দিল্লি থেকে ফেরার সময় উড়োজাহাজ যদি পানিহাটির হুগলি পেরিয়ে, বি টি রোড আর রেললাইন পেরিয়ে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পেরিয়ে, ফের রেললাইন পেরিয়ে ঝুপ করে নেমে পড়ে, আমার ভারি কষ্ট হয়। তার চেয়ে এই দেখলাম কলকাতা, তারপরে বোঁ করে উড়ে গাঢ় অন্ধকারে, নিচে শোনা যাচ্ছে সুন্দরবনের বাঘের গর্জন, এরকমভাবে মিনিট পনেরো ওড়াউড়ির পরে ফের কলকাতা – এমনটি আমার ভারি পছন্দের।


-২-তাই দিন শুরু হল ভোরবেলায়। প্রথম গন্তব্য মহেশতলায়, নঙ্গী রেলষ্টেশনের অনধিক দুই কিলোমিটার পূর্বে বরকনতলায় বড়াখান গাজিসাহেবের মাজার; মতান্তরে তিনি কুমিরের রক্ষাকর্তা, বনবিবি আর দক্ষিণ রায়ের মধ্যে সন্ধিপ্রণেতা। মস্ত এক মাঠ, ঢুকতে বাঁয়ে কবরখানা বাঁশঝাড়ে ঢাকা, তার পরেই শানবাঁধানো ঈদগাহ, নমাজ পড়ার জায়গা। একটু যে খটকা লাগল না তা নয়, কারণ যতদূর জানা আছে কবরে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ। ডাইনে ফাঁকা মাঠ। কিছুটা এগিয়ে মস্ত এক শিরিষ গাছ (woman's tongue tree. Albizia lebbeck), মোটা মোটা ডালগুলি কেটে গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে, সম্ভবত ছত্রাক সংক্রমণের জন্য। যেটুকু ডাল আছে তা পরজীবী উদ্ভিদে পূর্ণ; গোড়ায় বাবার মাজার, দূরে পুকুর আর পাশে এক বকুল গাছ (Spanish cherry/Mimusops elengi)।সেখান থেকে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে উঠে আবার ডাইনে, রেললাইন পেরিয়ে বাবা বুড়োশিবের থানে। লোকবিশ্বাসে ইনি নাকি তারকেশ্বরের তারকনাথের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, তাই তারকনাথ কারো কথা না শুনলে এনার কাছে নালিশ জানাতে হয়। ইনি নাকি দুধ খেতে ভালোবাসেন, তাই সন্নিহিত অঞ্চলে একদা রেওয়াজ ছিল গাই পোষার।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ